বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশি, ইউনিভার্সিটি প্ররীক্ষার্থীদের সৌরজগত সম্পর্কে জানা খুবই জরুরী। তাই আমাদের আজকের আয়োজন সৌরজগত। এখানে সৌরজগত সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলো।
সৌরজগত
সীমাহীন মহাকাশে সুবিশাল সুবিশাল মহাজগতের একটি ক্ষুদ্র অংশ সৌরজগত।
এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা ধারণা লাভ করেছে ৫০০ কোটি সৌর জগতের।
পৃথিবী থেকে নক্ষত্র বা নক্ষত্র থেকে নক্ষত্রের দূরত্ব মাপতে ব্যবহার করা হয় আলোক বর্ষ।
পৃথিবীর নিকটতম ও পৃথিবী থেকে ১৩ লক্ষ গুণ বড় নক্ষত্র সূর্য (একটি গ্যাসিও পিণ্ড প্রধানত হাইড্রোজেন গ্যাস ৫৫% ও হিলিয়াম গ্যাস ৪৪%) দ্বারা গঠিত।
সৌরজগতের গ্রহের সংখ্যা ৮টি (বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন)।
সৌর জগতের গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে - প্লুটোকে।
সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড।
সৌরজগতের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টরাই (৩৮ লাখ কোট কি.মি. পৃথিবী থেকে দূরে)।
বৃহত্তম নক্ষত্র মন্ডলের নাম হাইড্রা।
আকাশে উজ্জ্বলতম নক্ষত্র লুব্ধক।
ধ্র“ব তারা দেখা যায় উত্তর গোলার্ধে।
আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে ১,৮৬,০০০ মাইল।
সপ্তর্ষি মণ্ডল (এৎবধঃ ইবধৎ) কালপুরুষ (ঙৎরমহ) ক্যাসিওপিয়া(ঈধংংরড়ঢ়বরধ) লুঘুপ্তষি খরঃঃষব ইবধৎ বৃহৎ কক্কুর মন্ডল (ঈধরহং সধলড়ৎ) প্রভৃতি নক্ষত্র মন্ডল।
নীহারিকা থেকে - নক্ষত্রের উৎপত্তি।
শক্তিশালী দুরবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে মহাশূন্যে ভাসমান আলোকময় বা কালো মেঘের ন্যায় যে বাস্পীয় জ্যোতিষ্ক দেখা যায় তা হলো- নীহারিকা।
সৌরজগতের কেন্দ্রে অবস্থান করছে- সূর্য।
পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব - ১৫ কোটি কি:মি: (১৫০ মিলিয়ন কি:মি:)
বৃহৎ বৃত্তাকার পথে সূর্য - একবার আপন গ্যালাক্সির চর্তুদিকে পরিক্রমণ করে প্রায় ২০ কোটি বছরের ব্যবধানে।
সৌরজগতের সবচেয়ে ক্ষুদ্র ও সূর্যের নিকটতম গ্রহ- বুধ।
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটতম গ্রহ শুক্র।
শুক্র গ্রহকে- ভোরবেলায় “শুকতারা” এক সন্ধাবেলায় “সন্ধ্যাতারা” বলা হয়।
বুধ ও শুক্র গ্রহের কোন উপগ্রহ নাই।
শুক্রগ্রহের বায়ুমন্ডলের অধিকাংশই - কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস পূর্ণ
সৌরজগতের একমাত্র আদর্শ গ্রহ পৃথিবী।
পৃথিবী আবর্তন করে - পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে।
পৃথিবীর অন্ধকারাচ্ছন্ন ও আলোকচ্ছন্নের মধ্যবর্তী অংশকে বলে- ছায়াবৃত্ত।
পৃথিবীর পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্র - ১৩.৯০ সে:
পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ- চন্দ্র (পৃথিবী থেকে চন্দ্রের দূরত্ব ৩,৮৪,৪০০ কি:মি:)
চন্দ্র দিনে পৃথিবীকে একবার আবর্তন করে।
পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহের আকাশ যথাক্রমে নীল ও গোলাপী।
মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠের রং - লাল।
রোমান যুদ্ধ দেবতা (গধৎং) মারস এর নামানুসারে - মঙ্গল গ্রহের নামকরণ করা হয়।
মঙ্গল গ্রহের বায়ুমন্ডলের ৯৯ ভাগই=(ঈঙ২) কার্বন ডাই অক্সাইড।
মঙ্গল গ্রহের সর্বোচ্চ স্থানের নাম- আলিম্পাস মানস।
‘ফোবসা’ ও ‘ডিমোস’ মঙ্গল গ্রহের দুটি উপগ্রহ
মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটে আসে - ২৭ আগষ্ট ২০০৩ (৬০,০০০ বছর পর আবার এ অবস্থায় আসবে)।
মঙ্গলগ্রহের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের জন্য- প্রেরিত পাথ ফাইন্ডার মঙ্গল গ্রহে প্রবেশ করে ৮ঠা জুলাই ১৯৯৭ এবং ব্যবহৃত রোবোটের নাম “সোজারনার”।
গ্রহরাজ বলা হয়- বৃহস্পতিকে (উপগ্রহের সংখ্যা ১৬ টি। এদের মধ্যে লেঅ, ইউরোপা, গ্যানিমেড ও ক্যালিস্টো প্রধান)।
যে গ্রহে দুইবার সূর্য উদয় ও অস্ত যায় - বৃহস্পতিতে।
বলয় যুক্ত গ্রহ বলা হয় শনি গ্রহকে।
শনি গ্রহের উপগ্রহের সংখ্যা ৫৬টি (টাইটান, হুয়া, ডাইওন ক্যাপিটাস ও টেথিস প্রভৃতি, উপগ্রহ অনেকের মতে ২৫টি।
শনি গ্রহের সতর্বাপেক্ষ বড় উপগ্রহ- টাইটান।
সৌর জগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ-ইউরেনাস (১৭৮৯ সালে আবি®কৃত হয়)।
সৌরজগতের বামন গ্রহের সংখ্যা ৩টি (প্লুটো, এরিস, সেরেস)।
ফিনিক্স নাসার অনুসন্ধানী যান যা ডেলটা ২ রকেটের সাহায্যে মঙ্গলে পাড়ি জমা এবং ২৬ মে ২০০৮ সাফল্যের সঙ্গে লোহিত গ্রহ মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে। যার মূল উদ্দেশ্য মঙ্গল গ্রহে পানির সন্ধান করা।
ভারত প্রথম চন্দ্র অভিযান শুরু করে ২২ অক্টোবর ২০০৮, চন্দ্রযান ১ নামে, ১৪ নভেম্বর ২০০৮ সফলভাবে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করে। অনুসন্ধানী রোবটযান “আদিত্য” সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করে ছবি পাঠানো শুরু করে।