শিক্ষা কি ও শিক্ষার
স্বরূপ বুঝতে আমাদের অনেক সময় লেগে গিয়েছে। আমি মনে করি এখনো পঞ্চাশ বছর পর আমরা একটা
সুন্দর জায়গায় পৌছাতে পারি। আমাদের অভিভাবকবৃন্দ শিক্ষা বলতে তাদের সন্তানদের প্রতিটা
শ্রেণি সাফল্যের সাথে অর্থাৎ বেশি নম্বর বা জিপিএ ৫ পেয়ে পাস করে শিক্ষা জীবনের সমাপ্তিকে
বোঝায়। এটা মূলত সার্টিফিকেট কেন্দ্রিক ।
এমন অনেক অভিভাবক
আছেন যারা, ছেলেমেয়েদের পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কোনো বই পড়তে দিতে চান না। তারা মনে করে
এতে সময় অপচয় হয়। যার ফলে শিশুরা বিভিন্ন ধরণের বই পড়ে জ্ঞান অর্জনে উৎসাহ বোধ করে
না। এখানে মুল লক্ষ্য থাকে শ্রেণিতে ভালো
ফলাফল করা। তার জন্য যে প্রশ্ন বা নোট পড়তে হবে , তার প্রাধান্যই বেশি থাকে। কেননা
এই শ্রেণি পাঠ্যপুস্তক পড়েই সে ভালো ফলাফল করবে, ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। এমনকি নির্দিষ্ট
কিছু বই পড়ে ভালো চাকরিও পেয়ে থাকে এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়েও তারা কাজ করার সুযোগ
পেয়ে থাকে । এই পদ্ধতি শুধুমাত্র মুখস্থ নির্ভর। এখানে কাজের ক্ষমতা যাচাই করার কোনো
সুযোগ থাকে না।
আবার অনেকেই মনে
করে থাকে যে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাস শেষ করানো। যে কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী
একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। শিক্ষার যে আরো কিছু লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
আছে যেমনঃ শারিরিক,মানসিক সামাজিক, নৈতিক ,আধ্যাত্নিক বিকাশ ,বিজ্ঞান মনস্কতা, যুক্তিবাদী,
দেশপ্রেমিক, সৃজনশীল ও উন্নত জীবন দর্শন এসকল বিষয় উপেক্ষিত থাকে। যা ইতিমধ্যে সমাজে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি জ্ঞান নির্ভর সমাজ গঠনের পরিবর্তে
অর্থ ও ক্ষমতা নির্ভর সমাজ গঠনের দিকে বেশি ঝুকে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের
উত্তরণের জন্য এখনই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরী।
অভিভাবক সম্প্রদায় কি ভাবলো সেটার চেয়ে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। বহুমূখী শিক্ষা থেকে বের হতে হবে। প্রয়োজন শিক্ষানীতি প্রনয়ণ, শিক্ষা আইন পাশ, দক্ষ শিক্ষক তৈরী, সঠিক মূল্যায়ন পদ্ধতি সহ আরো অনেক কিছু। লেখক হিসেবে আপনার জুড়ি নেই। আরো লিখেন।
ReplyDeleteThanks for your valuable comment.
Delete