শিশুর প্রতি আচরণ
অনেক অভিভাবক আছেন যারা তাদের সন্তানের পিছনে অনেক
পরিশ্রম করে, টাকা-পয়সা খরচ করে,এমনকি অনেক টিউটর ও রেখেছেন তবুও তাদের সন্তানকে সঠিক
লাইনে আনতে না পেরে নিজেদেরকে খুবই অসহায় বোধ করছেন। এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমরা কি
কখনও ভেবে দেখেছি, যে কেন তারা এমন করে?বেশিরভাগ
ক্ষেত্রেই এর উত্তর আসবে না। অথবা বন্ধুদের সাথে মিশে খারাপ হয়েছে।
অথবা বাবা মাকে আর মা বাবাকে দোষারোপ করে থাকবেন।
এতবেশি উদ্বিগ্ন না হয়ে বাবা-মা হিবেবে আমরা যদি একটু সচেতন হতে
পারি তাহলেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। যেমনঃ
1. শিশু যখন বুঝতে শিখে তখন থেকেই তাকে নিয়ম করে
সময় দিতে থাকুন।
2. শিশুর সাথে
কথা বলার সময় আপনার অঙ্গভঙ্গির প্রতি সচেতন হোন। কেননা শিশুরা খুবই অনুকরণপ্রিয়।
3.
শিশুর সাথে
কথা বলার সময় আপনার শব্দ চয়নের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
4.
অহেতুক শিশুর
সাথে চিল্লাপাল্লা করবেন না।
5.
শিশুর সামনে
পারিবারিক কোনো বিষয়ে ঝগড়া করবেন না, যা কিনা শিশুর সুস্থ্য মানসিক বিকাশের
অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
6.
শিশুর কথা
বলার সময় তার আবেগ বোঝার চেষ্টা করুন।
7.
শিশুর মতামতকে
প্রাধান্য দিন, যা তার নিজস্বতা গঠনে সহায়তা করবে।
8.
শিশু যখন কথা
বলে তার দিকেই মনোযোগ দিন।
9.
শিশুকে প্রশ্ন
করতে উৎসাহিত করুন।
10.
শিশুর সকল
প্রশ্নের সহজ উত্তর দেবার চেষ্টা করুন।
11.
সীমাবদ্ধতার
জ্ঞান শিশু বয়সেই দিয়ে দিন। যেমনঃ ২টা থেকে তুমি ১টা নিতে পারবে।
12.
শিশুকে
ছোটখাটো কাজে অংশগ্রহণ করাবেন। যেন সে তার সামর্থ্য সম্পর্কে বুঝতে পারে।
13.ভালো কাজে প্রশংসা করুন আর মন্দ কাজে বুঝিয়ে বলুন।
14.
শিশুর কাছের
মানুষ বা বন্ধু হবার চেষ্টা করুন। তাহলে সে বাইরের বন্ধুদের সাথে কম মিশবে।
প্রকৃতপক্ষে শিশুর বাব মায়ের উপর নির্ভর করে শিশুর পরবর্তি ভবিষ্যৎ।
তাই বাব-মায়ের সচেতনতা সবথেকে বেশি জরুরী ।
শিশুর প্রতি আচরণ
এস এম শামসুল আলম
ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ)
প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, মেহেরপুর।
Effective
ReplyDelete