No title


আর নয় বানান-বিভ্রাট,
শিখে নিন বানান-ঝটপট! 

বানান-ঝটপট: ০৪


#আজকের_বানান: ‘ধরন’ বনাম ‘ধারণ’ এবং ‘দরুন’ বনাম ‘দারুণ’।

ছোটবেলায় ণ-ত্ব বিধান পড়তে গিয়ে সবচেয়ে সহজ যে নিয়মটা আমরা শিখেছি সেটা হলো- সংস্কৃত শব্দে ‘র’-এর পরে ‘ণ’ হয়।
এই নিয়মটা শেখার পর একটা সময় আমরা নিয়মটার অংশবিশেষ মনে রাখি আর অংশবিশেষ ভুলে যাই। আমরা ভুলে যাই যে, নিয়মটা কেবল সংস্কৃত শব্দের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এর ফলে কোনো শব্দে ‘র’ দেখলেই তার পরে আমরা চোখ বুজে বিনা দ্বিধায় আত্মবিশ্বাসের সাথে ‘ণ’ লিখে থাকি। ‘ধরন’ এবং ‘দরুন’ এমনই দুটি শব্দ।

মনে রাখুন, ‘ধরন’ এবং ‘দরুন’ সংস্কৃত শব্দ নয়। ‘ধরন’ শব্দটি অর্ধ-তৎসম শব্দ এবং ‘দরুন’ শব্দটি ফারসি শব্দ। সুতরাং এ দুটি শব্দের ক্ষেত্রে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য হবে না।
কিন্তু ধারণ, ধারণা, ধরণি, দারুণ প্রভৃতি শব্দ সংস্কৃত; তাই এগুলো নিয়ম মেনেই ‘ণ’ ব্যবহার করে লিখুন।

আসুন একই বাক্যে আলোচ্য শব্দজোড়ের দুটি প্রয়োগ দেখে নিই।
১. মৌন্ময়ী হাতে মেহেদি দেয়ার দরুন তাকে দারুণ লাগছে।
২. ট্রাম্পের ধরন-ধারণ ভালো না।

আব্দুল্লাহ আল নোমান
কর-পরিদর্শক
নাটোর।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

হেলথ টিপস